ফেসবুক চালু করার পরে যে কাজগুলো ডেকে আনবে বিপদ |

ইন্টারনেটের জগতে যতগুলো মানুষের বিচরণ করার এবং অন্যান্যদের সাথে কমিউনিকেশন করার প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আপনি যদি ব্যবহারের মাপকাঠি নির্বাচন করতে চান তাহলে প্রথম স্থানে আপনি ফেসবুকে দিতে বাধ্য হবেন।

কারণ বর্তমান সময়ের সোসিয়াল গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেইসবুক অ্যাক্টিভিটি অকল্পনীয় স্থান ধরে রেখেছে এবং দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আপনি যদি ফেসবুকের নাম প্রথমত শুনেন তাহলে এটি ব্যবহার করার জন্য আপনার মনের মধ্যে কৌতূহল জাগতে পারে, তবে আপনি এটি ব্যবহারের অনেক প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জেনেছিলেন।

ফেসবুক চালু করার ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় নানা রকমের ভুল ভ্রান্তি করে থাকি, কিন্তু আপনি যদি ফেসবুক চালু করে এই সমস্ত ভ্রান্তি করে থাকেন তাহলে এগুলো আপনার মানব জীবনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে

আর ফেসবুক চালু করার আগে আপনাকে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হয় এবং যে বিষয়গুলোকে ফেসবুকে কখনো শেয়ার করা উচিত হবে না, এই সমস্ত বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য হিসেবে আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

ফেসবুক ব্যবহার করার আগে আপনাকে প্রথমত যে বিষয়গুলোর উপর সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য রাখতে হয় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকের এই পোস্টটিতে আমি আলোচনা করব।

আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য:

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ফেইসবুক ব্যবহার করার পরই তাদের টাইমলাইনে বিভিন্ন ধরনের তথ্যাদি দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা তাদের সঠিক তথ্য গুলো এখানে সেভ করে রেখে দেন।

তবে অনেক সময় আপনার সঠিক তথ্য গুলো দেয়া আপনার বিপদের কারণ হতে পারে, আর কিভাবে আপনার প্রদানকৃত সঠিক তথ্য গুলো বিপদের কারন হবে তা প্রমাণিত।

তাই আপনি যখনই ফেসবুক চালু করবেন এবং তারপরে ফেসবুক যখন আপনার কাছ থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে চাইবে তখন এগুলো এড়িয়ে না চলে সবগুলো সঠিক তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

কারণ অনেক সময় এই তথ্যগুলোর কারণে আপনি হয়তো বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার মুখোমুখি হতে পারেন, আর এই তথ্যগুলো না দেয়ার কারণে আপনি প্রাণে বেঁচে যেতে পারেন।

ফেসবুকে আপনি যদি যেকোনো ধরনের ভুয়া ইনফর্মেশন দেন যেমন আপনার এড্রেস কিংবা আপনার জীবনে বিবরণ, তাহলে ফেসবুক কখনো এগুলো যাচাই করতে চাইবে না কিংবা এগুলো ভেরিফাই করার কোনো চাপ আপনার উপরে দিবে না।

কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড

আমরা প্রায়শই ফেসবুকে যখনই ভিজিট করি তখনই বিভিন্ন ধরনের পেজ কিংবা গ্রুপে যে কারো সাথে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা আমরা দেখতে পারি।

বিষয়টা এরকম যে আপনি যখনই কোন ফেসবুক গ্রুপে কিংবা পেজে ভিজিট করেন তখনই কোন একটি চক্র এই ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা সহ নানা ধরনের খারাপ কর্মকান্ড পরিচালনা করে।

আপনি যদি এই সমস্ত কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন তাহলে এগুলো আপনার জীবনে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

এছাড়াও ফেসবুকে যে কোন ধরনের অপপ্রচার সহ খারাপ কর্মকাণ্ড করা থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যকে বিরত রাখতে চেষ্টা করুন, কারণ আপনার একটি মাত্র চেষ্টা বাঁচিয়ে দিতে পারে হাজারো মানুষের জীবন।

অপপ্রচার এবং ভুয়া তথ্যঃ

ফেসবুকে আপনি যখনই বিচরন করবেন তখনই আপনার টাইমলাইনে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া সংবাদের আনাগোনা দেখতে পারবেন, যে সংবাদমাধ্যমের সংবাদদাতা আসলে নিজেই জানে না যে এই সংবাদের পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।

অনেকেই এই সমস্ত ভুয়া সংবাদ গুলো ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে, আর আমরা এগুলোকে যাচাই না করেই তা আমাদের ফেসবুক টাইমলাইন সহ বিভিন্ন পেইজ বা গ্রুপে শেয়ার করে দিতে মোটেও দ্বিধাবোধ করিনা।

তবে আপনার এই সমস্ত অপপ্রচার এবং অপকর্মের ফলাফল কিন্তু মোটেও ভালো হবে না, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এই সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। 

আর আপনি যদি এটা অমান্য করেন তাহলে নিঃসন্দেহে আপনাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাচতে হলে আপনাকে প্রথমত এই ফেসবুক চালু করার পরে যেকোনো ধরনের সংবাদ যখন আপনার টাইমলাইনে দেখতে পারবেন তখন একটি যাচাইকরণ এবং তারপরে অন্যান্যদের কাছে ছড়িয়ে দিন।

ফেসবুক হল এমন একটি প্ল্যাটফরম যেখানে সংবাদ অবশ্যই প্রচার হয়, কিন্তু  একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে আপনার কর্তব্য যে সংবাদ আপনার চোখের সামনে ভাসছে সে সংবাদের সত্যতা যাচাই করা।

নাস্তিকতা কিংবা ধর্মে আঘাত 

ফেসবুক বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় গণমাধ্যম হয় এবং এতে প্রতিদিন প্রায় কয়েক বিলিয়ন মানুষের আনাগোনা হওয়ার কারণে এটি বর্তমানে সকলের যেকোনো কিছু প্রচারের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

তবে এক্ষেত্রে আপনি যখনই বিভিন্ন ধরনের ফেইসবুক গ্রুপ কিংবা পেইজে ভিজিট করেন তখন আপনি হয়তো নাস্তিকতা কিংবা ধর্মে আঘাত করা রিলেটেড বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট দেখতে পান।

এই কনটেন্ট বিভিন্ন নাস্তিকের হাতে লেখা এবং তাদের কাজই হল ধর্মকে বিশ্বাস না করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।

আপনি যদি এই সমস্ত অপপ্রচার কিংবা ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি কাজে লিপ্ত হয়ে যান তাহলে এর ফলস্বরূপ আপনাকে চরম  মূল্য দিতে হবে।

কারণ প্রত্যেক ধর্মের লোকই তাদের নিজস্ব ধর্ম কে নিজের মনে লালন করেছে এবং তা জন্মের পর থেকেই বিশ্বাস করে আসছে, আপনি যদি এভাবে ধর্মের মধ্যে আঘাত যার মত চেষ্টা করেন তাহলে ফলপ্রসূ আপনার জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে।

আর উপরের উল্লেখিত কাজগুলো ফেসবুক চালু করার পরে কখনোই করবেন না, করলেই বিপদ অনিবার্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top